Discuss Forum

1.

সম্প্রতি (আগস্ট-২০২৪) ৩১ বছর পর ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেবার ফলে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে কোন দেশে?

  • A. পাকিস্তান
  • B. পাকিস্তান
  • C. পাকিস্তান
  • D. পাকিস্তান

Answer: Option C

Explanation:

সম্প্রতি (আগস্ট ২০২৪) ৩১ বছর পর ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত। এই বাঁধটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত, এবং এটি গোমতী নদীর উপর নির্মিত। বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল, কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাত এবং জলাশয়ের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ৩১ বছর পর এটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি (আগস্ট ২০২৪) ৩১ বছর পর ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে ভারতে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। ডুম্বুর বাঁধটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদীর উপর অবস্থিত। বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার পর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দেয়।

ডুম্বুর বাঁধ, যা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদীর উপর অবস্থিত, ৩১ বছর পর আগস্ট ২০২৪ সালে খুলে দেওয়া হয়। বাঁধের গেট খোলার ফলে অতিরিক্ত পানি ছাড়া হয়, যা গোমতী নদী দিয়ে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হয় এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি করে।

বন্যার কারণ এবং প্রভাব:
ভারী বর্ষণ এবং বাঁধের গেট খোলা: ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বর্ষণের ফলে ডুম্বুর বাঁধের জলাধারের পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়। বাঁধের উপর চাপ কমানোর জন্য কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বাঁধের গেট খুলে দেয়, যার ফলে হঠাৎ করে গোমতী নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়।

বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি: গোমতী নদী ত্রিপুরা থেকে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এবং আশেপাশের অঞ্চলে প্রবেশ করে। বাঁধের গেট খোলার পর অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশের এই অঞ্চলে প্রবাহিত হয়, যা আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে নিম্নাঞ্চলের গ্রাম, ফসলের মাঠ এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জনজীবনে প্রভাব: বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু হলেও, রাস্তাঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ত্রাণ সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

সীমান্ত এলাকায় ঝুঁকি: ডুম্বুর বাঁধ খোলার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে সঠিক পূর্বাভাস এবং সময়মত ব্যবস্থা নেওয়ার অভাবের কারণে ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগ:
এই ঘটনার পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নদীর পানি বণ্টন এবং বাঁধ পরিচালনা নিয়ে আলোচনা এবং সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্র হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে দুই দেশের মধ্যে আরও কার্যকর যোগাযোগ ও সমঝোতার প্রয়োজন হবে।

ডুম্বুর বাঁধ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদীর উপর অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ। এটি মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সেচের জন্য নির্মিত হয়েছিল। তবে, বাঁধটি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল এবং কোন জলছাড় কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি।

ডুম্বুর বাঁধ খোলার পটভূমি:
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে, দীর্ঘ ৩১ বছর পর ভারী বর্ষণের কারণে বাঁধের জলাধারের পানির স্তর অত্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এই অতিরিক্ত পানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং বাঁধের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেয়। এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল যাতে বাঁধের উপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে এবং বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো যায়।

প্রভাব:
ডুম্বুর বাঁধ খোলার ফলে গোমতী নদীর পানির স্তর হঠাৎ বৃদ্ধি পায়, যা নদীর তীরবর্তী এলাকা এবং নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে ত্রিপুরার কিছু অংশে জনজীবনে বিঘ্ন ঘটে এবং কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
ডুম্বুর বাঁধ ত্রিপুরার জেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৭০-এর দশকে এটি নির্মিত হয়েছিল এবং সেই সময়ে এটি রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। বাঁধটি গোমতী নদীর পানিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সেচের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছিল। তবে, ৩১ বছর ধরে বন্ধ থাকার কারণে এর কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ে।

ডুম্বুর বাঁধের পুনরায় খোলার ঘটনা স্থানীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এই বাঁধের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে এবং এর প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

ডুম্বুর বাঁধটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদীর উপর অবস্থিত। এটি ত্রিপুরার গোমতী জেলার অন্তর্গত এবং ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম প্রধান বাঁধ হিসেবে পরিচিত। বাঁধটি মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়।

 

ডুম্বুর বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সরাসরি কোনো বিরোধ নেই। তবে, তিস্তা, গঙ্গা, এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো অন্যান্য নদীগুলির পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার বিষয় রয়েছে। ডুম্বুর বাঁধ মূলত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত, এবং এটি গোমতী নদীর উপর নির্মিত। বাঁধটি স্থানীয় সেচ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

যদিও ডুম্বুর বাঁধের পানির কারণে বাংলাদেশে সরাসরি কোনো বিরোধের ঘটনা নেই, তবুও নদীর পানি প্রবাহ এবং বাঁধ পরিচালনা প্রায়ই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বন্যা ও পরিবেশগত সমস্যার কারণ হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হয়।বাংলাদেশের সাথে ভারতের পানি বণ্টন বিরোধ মূলত তিস্তা, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো প্রধান নদীগুলির পানি বণ্টনের ওপর কেন্দ্রীভূত |


Post your comments here:

Name:
Mobile:
Email:(Optional)

» Your comments will be displayed only after manual approval.