দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে শান্তির এই নতুন পর্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা পরিকল্পনা, যেখানে তিনি একটি দ্বিস্তরভিত্তিক শাসনব্যবস্থা প্রস্তাব করেছেন।

এই প্রস্তাব অনুযায়ী,

দৈনন্দিন প্রশাসন পরিচালনা করবে একটি ফিলিস্তিনি কমিটি,

আর অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা দেখভাল করবে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা “বোর্ড অব পিস”, যার নেতৃত্বে থাকবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

তবে পরিকল্পনাটি প্রকাশের পরই হামাসসহ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এই উদ্যোগ ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।

এদিকে ট্রাম্পের এই তথাকথিত শান্তি পরিকল্পনাকে ঘিরে কায়রোতে বসছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন, যেখানে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন, মিশরীয় ও ইউরোপীয় নেতারা, পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিবও অংশ নেবেন। তবে হামাস এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তা স্থিতিশীলতার বদলে নতুন অস্থিরতা তৈরি করতে পারে, কারণ এতে ইসরাইল ও পশ্চিমা মিত্রদের স্বার্থই প্রাধান্য পেয়েছে, অথচ ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পথ আরও কঠিন হয়ে পড়বে।