আমার নাম তাই আপনার স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কাজ করছি। আমি ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার ওষুধ ও বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। তাই অনুগ্রহ করে আমাকে ২ দিনের ছুটি দিন অর্থাৎ (থেকে - থেকে) পুনরুদ্ধারের জন্য।
ইব্রাহিম কার্দির পরিচয় অল্প কথায় দেওয়া সম্ভব নয়। চলুন ইতিহাস থেকে ঘুরে আসি। পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ১৭৬১ সালে মুসলিম এবং মারাঠা বাহিনীর মধ্যে। ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের অন্তর্গত পানিপথ নামক স্থানে এ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ইতিপূর্বে এ স্থানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যার প্রথমটি হয়েছিল বাবর এবং ইব্রাহিম লোদীর মাঝে। যা ইতিহাসে পানিপথের প্রথম যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে বাবরের জয়ের মাধ্যমেই ভারতে মুঘল বংশের গোড়া পত্তন হয়। পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংগঠিত হয় হিন্দু রাজা হেমচন্দ্র হিমু এবং বৈরাম খানের ( আকবর তখন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল তাই তার হাতে সমস্ত দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল) মাঝে। এবার আসল কথায় আসি, পানি পথের ৩য় যুদ্ধে মুসলমানদের পক্ষে ছিল আহমদ শাহ আবদালি, নবাব নজিবুদ্দৌলা, নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং মেহেদী বেগ কন্যা জোহরা বেগম। অন্যদিকে মারাঠা বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন পেশোয়া, রঘুনাথ রাও, সদাসিব রাও এবং ইব্রাহিম কার্দি (জোহরা বেগমের জামাই) অর্থাৎ মুসলিম শিবিরে নেতৃত্বদানকারী জোহরা বেগমের স্বামী হচ্ছেন ইব্রাহিম কার্দি। ইব্রাহিম কার্দির একসময় কর্মসংস্থান ছিল না। তিনি মারাঠা বাহিনীতে যোগদান করেন এবং স্বীয় যোগ্যতায় তিনি পদাধিকার লাভ করেন। নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হচ্ছে দেখে জোহরা বেগম বিপাকে পড়েন এবং গোপনে তার সাথে সাক্ষাৎ অব্যাহত রাখেন। তিনি ইব্রাহিম কার্দিকে মারাঠা শিবির ত্যাগ করে মুসলিম শিবিরে যোগদান করতে চাপ দিতে থাকেন। জোহরাকে ইব্রাহিম ভালোবাসলেও আদর্শগত দিক থেকে ইব্রাহিম অনড় ছিলেন। তাই তিনি মারাঠাদের দুর্দিনে তাদেরকে ছেড়ে আসতে অস্বীকার করেন। ভয়ংকর এবং বিধ্বংসী যুদ্ধে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও মুসলমানরা জয়লাভ করেন। ইব্রাহিম কার্দি ধরা পড়ে মুসলমান বন্দিশালায় আসেন। জোহরা বেগম তার মুক্তির জন্য যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আহমদ শাহ আবদালির কাছে অনুরোধ করেন। সম্মতিক্রমে মুক্তির ফরমান নিয়ে জোহরা বেগম কারাগারে গেলে ইব্রাহিম কার্দিকে মৃত দেখতে পান।
আঠারো বছর বয়স জীবনের জন্য এক যুগসন্ধিক্ষণ। এ সময় আসে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি ও নানা ধরনের ঝুঁকি। তাই কবি এ বয়সকে দুঃসহ বলেছেন। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় মানবজীবনের আঠারো বছর বয়সটিকে দুঃসহ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ এই বয়সে মানুষ কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা পরিহার করে এই বয়সেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে হয় তরুণকে। আত্মনির্ভরশীলতার তাড়না তাকে এ সময় অস্থির করে তোলে। স্পর্ধিত সাহসে এই বয়সেই স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঝুঁকি নেয় সে ।
Wrong Question
Wrong Answer
Wrong Question Spelling
Wrong Answer Spelling
Wrong Explanation
Data added
successfully.
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা (স্কুল সমপর্যায়-২) — জুনিয়র শিক্ষক (12-07-2024) - 2024
More
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা (স্কুল সমপর্যায়-২) — জুনিয়র শিক্ষক (12-07-2024) - 2024
১৯৬৮ সালের দিকে পাকিস্তানের সব ভাষার জন্য অভিন্ন রোমান হরফ চালু করার প্রস্তাব করেন আইয়ুব খান যার প্রতিবাদে আগস্টে ৪১ জন কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন যাদের একজন ছিলেন শামসুর রাহমানও। কবি ক্ষুদ্ধ হয়ে লেখেন মর্মস্পর্শী কবিতা 'বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা'।
'যার ভেতরে ভয়, সেই বাইরে ভয় পায়'- কথাটি দিয়ে লেখক বুঝিয়েছেন, যার হূদয়ে ভয় আছে সে চারদিকে শুধু ভয়ই অনুভব করে। মানবহূদয়ে সত্য না থাকলে মিথ্যা এসে বাসা বাধে। মানুষ যদি মনে সত্যকে ধারণ করতে না পারে তবে মিথ্যা তাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।
পুরাণ ও মিথকে আশ্রয় করে সাহিত্য সৃষ্টি শুধু বাংলা সাহিত্যেই নয়, সমগ্র বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে তা দৃষ্ট। বলা বাহুল্য, সাহিত্যের অন্যান্য শাখার চাইতে কবিতাতেই এই পৌরাণিক অনুষঙ্গ ও মিথের ব্যবহার বেশি। বাংলা সাহিত্যও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলা কবিতার ক্ষেত্রেও আমরা দেখি পৌরাণিক নানান অনুষঙ্গকে কবিরা ব্যবহার করছেন।আমরা আজ আলোচনা করব নজরুলের কবিতায় পুরাণ ও মিথ ঐতিহ্যের মেলবন্ধন কিভাবে তাঁর কবিতাকে সামগ্রিকতা দান করেছে। নজরুল তাঁর অনেক কবিতাতেই এই পৌরাণিক অনুষঙ্গ ও মিথকে এক নতুন ভাবে রূপদান করেছেন। তিনি পুরাণের প্রাচীন ঐতিহ্যকে আধুনিক পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর কবিতায় স্থাপন করতে চেয়েছেন। বলা যেতে পারে, পৌরাণিক অনুষঙ্গ ও মিথের ব্যবহার তাঁর কবিতায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তিনি হিন্দু, মুসলিম, গ্রীক প্রভৃতি পুরাণ ও মিথ ঐতিহ্য কবিতায় এক নতুনভাবে ব্যবহার করেছেন। আমরা সেগুলোই এখন আলোচনা করে দেখে নেবো।