মূলভাবঃ বিদ্যা এবং চরিত্র এ দুটি মানবজীবনে মূল্যবান সম্পদ। বিদ্বানের সঙ্গ কল্যাণকর কিন্তু বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন এমন ব্যক্তির সঙ্গ কখনাে মঙ্গলজনক নয়, এদের সঙ্গ সর্বদাই পরিত্যাজ্য। এ ধরনের বিদ্বান ব্যক্তিরা তাদের অসৎ চরিত্রের মাধ্যমে সজ্ঞানে দেশ, জাতি ও সমাজের ভয়ানক ক্ষতি করেন।
সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্বান ব্যক্তি পৃথিবীর সর্বত্রই সম্মানিত। বিদ্বান ব্যক্তির জ্ঞান-আলাের সংস্পর্শে এলে সকলেরই মন আলােকিত হয়। তদুপরি যদি তিনি সৎ চরিত্রবান হন তবে তার চরিত্র মাধুর্য সকলকেই মুগ্ধ করে, তিনি সকলের ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাত্র হন। আর যদি বিদ্বান ব্যক্তি চরিত্রহীন হন, তখন তিনি অশ্রদ্ধার পাত্র হন। কেউ সহজে তার সঙ্গে মিশতে চায় না, কথাবার্তা এমনকি চলাফেরাও করতে চায় না। সকলেই তার কাছ থেকে দূরে থাকে। কারণ চরিত্রহীন ব্যক্তি তার অসৎ উদ্দেশ্য ও হীনস্বার্থ হাসিলে তৎপর থাকেন। তিনি তখন দুর্জন ব্যক্তির মতাে ভয়ংকর রূপ নেন। যেকোনাে অন্যায় কাজ করতে তিনি দ্বিধা করেন না। এ ধরনের ব্যক্তির সাহচর্য পেলে নিজ চরিত্রও কলুষিত হতে পারে। তাই চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তির সাহচর্য আমাদের কারাে কাম্য নয়। বিষধর সাপের মাথায় মহামূল্যবান মণি থাকে, তাই বলে মণি লাভের নিমিত্তে বিষধর সাপের কাছে গেলে মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে। তেমনি বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন ব্যক্তির সাহচর্যে গিয়ে বিদ্যা লাভ করলে বিপদও হতে পারে । সমাজে ঘৃণিত ও নিন্দনীয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সাধনা করে অর্জন করা বিদ্যাও অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে। তাই চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তিকে সবসময় এড়িয়ে চলা উচিত।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এর আমন্ত্রণে, বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১০ জুলাই, ২০২৪ পর্যন্ত চীন সফর করেন। জুন মাসে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছিলেন। তাই এই চীন সফরকেও তার চীন ও ভারতের মধ্যে মধ্যস্থতার সুযোগ খোঁজার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রদানে ষষ্ঠী।যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে (সংস্কৃত নিয়মে) ইত্যাদি সম্প্রদান কারক বলে। বস্তু নয়, ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক। যেমনঃ দেশের জন্য সেবা কর। প্রদত্ত দেশের জন্য ‘সেবা করা স্বত্ব ত্যাগ অর্থেই প্রকাশিত প্রকাশিদ এবং ‘দেশের (দেশ + এর) সাথে ৬ষ্ঠ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমন - বাবাকে বড্ড ভয় পাই। প্রদত্ত বাক্যটিতে ভয় পাওয়ার বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে এবং 'বাবাকে' শব্দটিতে অপাদান কারকের দ্বিতীয়া বা 'কে' (বাবা + কে) বিভক্তির প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে।