কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দৈনিক ৫০টি ট্রেন বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। দিন রাত সব সবসময় এখানে মানুষের যাতায়াত থাকে। যাত্রীদের সেবাদানের জন্য কমলাপুর স্টেশনে শতাধিক এবং বিভিন্ন বিভাগে বহুসংখ্যক কর্মচারি কর্মরত। এরপরও নানা সমস্যায় জর্জরিত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। যাত্রী বেড়েছে বহুগুণ। কমলাপুর স্টেশনের প্লাটফর্ম এর দৈর্ঘ্য ৯১৮.৪ মিটার।পূর্ব দিকের মানুষ মতিঝিল আসা-যাওয়া করে এ রেল লাইনের ওপর দিয়ে। রেল রাস্তা পারাপারের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রেল লাইনের ওপর গড়ে তোলা হয় ওভারব্রিজ। বাংলাদেশের এটাই সর্ববৃহৎ রেল ওভারব্রিজ।বর্তমানে রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কার কাজ চলছে।
মূলভাব: সৌন্দর্য প্রকৃতির এক অসামান্য উপহার এ সৌন্দর্য কোথায় বিশিষ্টতা অর্জন করতে সক্ষম, তা প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দেয়। এর ব্যতিক্রম ঘটলে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। সম্প্রসারিত ভাব : প্রত্যেকটি সৃষ্টিই পরিবেশের পটভূমির ওপর নিজের প্রকৃত সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে. যথাস্থানেই তাকে সুন্দর ও সাবলীল দেখায় । যেমন: বুনো মানুষের স্বভাব, চরিত্র, আচার-আচরণ স্বাভাবিক নিয়মে বনের মধ্যেই সুন্দরভাবে বিকাশ লাভ করে থাকে । কিন্তু তারা যদি আধুনিক সভ্যতার আলোকে আলোকিত শহরে আসে তবে তাদের জীবন কুৎসিত বলেই প্রতীয়মান হয় । ঠিক তেমনই মায়ের কোলে শিশুকে যেমন সুন্দর লাগে, অন্য কারও কোলে তত সুন্দর মানায় না। এজন্যে অনেক বড় বড় শিল্পী মা ও শিশুর ছবি এঁকেছেন, যেখানে শিশুকে মাতৃক্রোড়েই দেখানো হয়েছে । লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি এবং পাবলো পিকাসো ছাড়া আরও অনেক ক্লাসিক্যাল ও আধুনিক শিল্পী শিশুকে মাতৃক্রোড়েই স্থান দিয়েছেন। শিশুর জন্য তার মায়ের কোলই উপযুক্ত জায়গা । এটা প্রকৃতির চিরায়ত নিয়ম । আবার বন্য প্রাণীদেরকে বনে যেমন সুন্দর সৌন্দর্য বিকশিত হবে না। কাজেই প্রাকৃতিক নিয়মে যে যেখানে সুন্দর তাকে সেখানেই থাকতে দেওয়া উচিত। সেখানেই তার মুক্তি, সেখানেই তার সহজ সাবলীল ও স্বাধীন সুন্দর প্রকাশ । তাই মনীষীরা বলেন, “যার যেখানে স্থান তাকে সেখানে থাকতে দাও ।’ কেননা যে যেখানে যে পরিবেশে প্রতিপালিত হয়, তাকে সেখানেই সুন্দর মানায় । প্রতিটি সৌন্দর্যেরই একটা নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে । সেই নির্দিষ্ট স্থান এবং পরিবেশেই তা যথার্থ বিকাশ লাভ করে, অন্যত্র নয়।